রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট করতে এসে ভোগান্তিতে পড়ে নাই এমন একজন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা বললেই চলে। প্রায় প্রতিদিনই এই অফিসের গুন কীত্তণ শোনা যায় মানুষের মুখে মুখে। এই পাসপোর্ট অফিসের জন ভোগান্তি ও দালালদের প্রতারণার রুখতে বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছে গোপালগঞ্জের প্রশাসন, সহ বিভিন্ন সংস্থা। দুদক গোপালগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি বহু অভিযোগ সাধারণ মানুষের পক্ষে আছে।এই অফিসের দুর্নীতি নিয়ে গোপালগঞ্জের সাধারণ জনগণ ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা দুদকের গণশুনানিতে মুখোমুখি হওয়ার রেকর্ড ও আছে। অভিযান কালে দু-একদিন ঠিকঠাক মত চললেও পরে আবার শুরু হয়ে যায় এদের অনিয়ম। প্রায়ই দেখা যায় এই অফিসের ডিউটিরত পুলিশ আনসার বাহিনীর ও কর্মচারীরা গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন কম্পিউটারে দোকানদারদের সাথে মিলিত হয়ে গোপানে কর্মসাধন করে সরকারের দেওয়া নির্ধারিত মূল্যে ছাড়াও দুই থেকে তিন হাজার টাকা বাড়তি টাকা আদায় করে ওরা। ওদের পরিচিত গ্রাহকদের সিরিয়াল ছাড়া সাথে নিয়ে সকল কার্জ দ্রুত করে দেয় তারা। আর যারা বাড়তি টাকা দেয় না তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বাধ্য হয়ে ভোগান্তিতে না পড়ার জন্য প্রায় সকল গ্রাহকই বাড়তি টাকা প্রদান করে। সাধারণ জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে ওখান কার ডিউটিরত সকলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এ ব্যপারে নাম না জানাতে ইচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি সকাল ৮টার সময় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি দুপুর ১২টা পার হয়ে যায় আমি আমার জায়গার পরিবর্তন করতে পারি নাই। অন্যদিকে অফিসের লোকজনের হাত ধরে অনেকে সিরিয়াল ছাড়া কাজ করে বেরিয়ে যাচ্ছে আমি জিজ্ঞাসা করলে ওরা বলে ১৫০০ পনেরো শত টাকা দিলে আগে নিয়ে যাবো। আমি টাকা দেই নাই বলে ওরা আমাকে বিভিন্ন কৌশলে তাড়িয়ে দেয়। আমি দেখলাম অফিসের আনসার থেকে শুরু করে অফিসের সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তার এক। ওরা সকলে একত্রিত হয়ে সিন্ডিকেট করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গোপালগঞ্জ পরিচালনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।আমি ওদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে আনসার বাহিনীর ডিউটিরত কৃশ্ন নামক এক ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।আমি নিরুপায় হয়ে বাড়ি চলে আসি।
আনিয়ম, দুর্নীতি ও জন ভোগান্তির ব্যপারে জানার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গোপালগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল হুদার সরকারি মুঠোফোনে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায় নাই।জানা যায় তিনি কারোর ফোন ধরে না।
সাধারণ মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে পাসপোর্ট অফিসে ছুটে আসে। এই সরকারি দপ্তরে এসে যদি ভোগান্তির শিকার সহ অর্থ দণ্ড দিতে হয় তাহলে সরকার এদের বেতন দিচ্ছে কেন। এই সকল দুর্নীতি গ্রস্থ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের কারণে সরকার সহ সমগ্র জাতির দুর্নাম হচ্ছে। এ ব্যপারে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।